গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলের সময় দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া ও পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ঘটে যাওয়া দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআইজি ইনামুল হক সাগর আরও বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সকল জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে সোমবার রাতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার আইনসম্মত প্রতিবাদে বাধা দেয় না, তবে প্রতিবাদের নামে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।”
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম পুলিশের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে জানান, গাজা সংহতি আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন শহরে সহিংসতা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং আরও তদন্ত চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ পুলিশ সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব ঘটনা জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রতি চরম অবমাননা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে, এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও জড়িতদের শনাক্ত করা হবে।” সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আহ্বান জানানো হয় যে, তদন্তে সহায়তার জন্য যেকোনো তথ্য পুলিশকে প্রদান করতে।