নিজের পালক পিতার মৃত্যুর সময় পাশে না থাকার অভিযোগ তুলে স্ত্রী রিয়ামনিকে জীবন থেকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও মডেল হিরো আলম, যার প্রকৃত নাম আশরাফুল হোসেন আলম।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুর রাজ্জাক, যিনি হিরো আলমের শৈশবে তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন। হিরো আলমের প্রকৃত পিতা ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু সংবাদ নিজেই নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার আমি ফেসবুকে বলে দিয়েছি। সবাই আমার বাবার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করবেন।”
নিজের ফেসবুক পোস্টে হিরো আলম অভিযোগ করেন, স্ত্রী রিয়ামনি তার বাবার অসুস্থতার সময় পাশে ছিলেন না। তিনি লেখেন, “রিয়ামনিকে আমি জীবন থেকে বর্জন করছি। কারণ আমার বাবা হাসপাতালে ছিলেন, আর সে সেই সময়ে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে নাচগানে ব্যস্ত ছিল। এমনকি তার পরিবারের কেউ একবারও আমার বাবাকে দেখতে আসেনি। বাবা বেঁচে থাকতেই কেউ খোঁজ নেয়নি—আমার কিছু হলে কি কেউ দেখবে?”
পোস্টে হিরো আলম আরও দাবি করেন, রিয়ামনি এক সময় ঢাকার বিভিন্ন বার-এ নাচ করতেন, এবং তিনি তাকে সেখান থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন। তবে সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই রিয়ামনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় হিরো আলমের। পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর তিনি তাকে বিয়ে করেন। এর আগে হিরো আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান তাকে ডিভোর্স দেন রিয়ামনির সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই।