গত বছরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় প্রাণ রক্ষায় সিলেট সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন পেশার ১৫ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সহিংসতা, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে ওইসব ব্যক্তি আত্মরক্ষার জন্য সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ সময় মানবিক কারণে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।
আইএসপিআরের তালিকা অনুযায়ী, সিলেট সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া অন্যদের মধ্যে ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভাগীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এবং কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা।
এছাড়া হবিগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আশ্রয় নিয়েছিলেন ঢাকা সেনানিবাসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারাদেশে সেনানিবাসে মোট ৬২৬ জন ব্যক্তি আশ্রয় নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অধিকাংশ ব্যক্তি এক-দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। তবে পাঁচজনকে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র মানবিক কারণে, এবং এর উদ্দেশ্য ছিল আইনবহির্ভূত সহিংসতা থেকে তাদের রক্ষা করা। তবে কিছু মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।