জাকাত ইসলামি ফরজ ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি একদিকে যেমন পবিত্রতা ও প্রবৃদ্ধির জন্য, তেমনি দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে। জাকাত প্রদান করলে সম্পদ পবিত্র হয়, আত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং সম্পদে বরকত আসে।
পবিত্র কোরআনে নামাজের মতো জাকাতের নির্দেশও রয়েছে। কোরআনে ৮২ বার নামাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এর পাশাপাশি ৮২ বার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জাকাতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ‘জাকাত’ শব্দটি ৩০ বার, ‘ইনফাক’ শব্দটি ৪৩ বার এবং ‘সদকা’ শব্দটি ৯ বার এসেছে।
এখন অনেকেই জানতে চান, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কি জাকাত দিতে বাধ্য? ফুকাহায়ে কেরাম এ বিষয়ে বলেন, একজন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি প্রথমে তার ঋণ পরিশোধ করবে। তারপর যদি তার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তার উপর জাকাত আদায় করা ফরজ হবে। সাহাবি উসমান (রা.) রমজান মাসে বলেন, “এটি জাকাতের মাস। তাই, যদি কারও ঋণ থাকে, সে আগে ঋণ পরিশোধ করবে, তারপর যদি তার সম্পদ নিসাব পরিমাণ হয়, তখন সে তার জাকাত আদায় করবে।” (মুওয়াত্ত্বা মালেক ৮৭৩)
অতএব, যদি ঋণ পরিশোধের পরও কোনো সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, যা নিসাব পরিমাণ হয়, তবে তার উপর জাকাত প্রদান করা হবে। আর যদি ঋণ পরিশোধ না করে সেই সম্পদ গচ্ছিত রাখে, তাহলে তার সব জাকাতযোগ্য সম্পদের উপর জাকাত ফরজ হয়ে যাবে।