করোনা ভাইরাস আবার নতুন রূপে ফিরে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। এর সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ জুন দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে, যা দীর্ঘদিন পর নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনের। সংক্রমণের হার ফের ঊর্ধ্বমুখী।
অন্যদিকে, চলতি বছরের ১১ জুন ডেঙ্গুতে একদিনেই ২৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪১১ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন। গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে। বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে এবং মেট্রোরেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টিপাত ও ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। এর সঙ্গে স্থানীয় সরকারগুলোর দুর্বল প্রস্তুতি ও কার্যক্রম ডেঙ্গু বিস্তারে ভূমিকা রাখছে।
করোনা, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ভাইরাল জ্বর, টাইফয়েডসহ নানা রোগের প্রকোপে বর্তমানে জ্বর হলে সেটিকে হালকাভাবে নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী নারী বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
-
জ্বর হলে তিন দিন বিশ্রামে থাকুন। যদি জ্বর কমে না, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-
প্রচণ্ড জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ থাকলে বিলম্ব না করে সরাসরি চিকিৎসা নিন।
-
প্রতিটি জ্বরের ধরন আলাদা হতে পারে—সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা জরুরি।
ডা. লেলিন চৌধুরী ও ডা. মুশতাক হোসেন দুইজনেই মনে করেন, জনসচেতনতা, দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ এবং সরকারি নজরদারি—এই তিনটি বিষয় মিলেই বড় বিপদকে রোধ করা সম্ভব।