খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) খানজাহান আলী হল মাঠে সংগীতানুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলবে এ সংগীতানুষ্ঠান। উপাচার্যের অনুমতির পর তামাকজাত পণ্য বিক্রি ও ধূমপানের জন্য ৬টি বুথ তৈরির বিষয়টি বাতিল করার পরও তৈরি করা হয়েছে ৪টি বুথ। কিন্তু কী হবে এ বুথগুলোতে?
খুবি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক নাজমুস সাদাত শোভন বলেন, ‘এ আয়োজনের জন্য ঢাকা ব্রডকাস্ট ধূমপান বিষয়ে ৬টি বুথের কথা বলেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধূমপানের কোনও সুযোগ নেই। তাই এগুলো বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে “রিফ্রেশমেন্ট বুথ” হিসেবে ৪টি বুথ তৈরি করে তারা। তাদের পরিষ্কার বলা হয়েছে ধূমপান বিক্রি বা এ ধরনের কোনও কার্যক্রম এই রিফ্রেশমেন্ট বুথে করা যাবে না।’
ঢাকা ব্রডকাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুদান আল আমিন বলেন, ‘আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হল মাঠে সংগীতানুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। উপাচার্য আবেদনটি অনুমোদন করেছেন। এখন ইভেন্ট খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তাই কথা সেখানেই বলতে হবে।’
তামাকজাত পণ্যবিরোধী সংগঠন সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধূমপান ও তামাকমুক্ত। বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট ও অর্জনকে বিতর্কিত করতেই তামাক কোম্পানির এ কূটকৌশল। এ ধরনের আয়োজনকে সমর্থন ও সহযোগিতার পেছনে যারা কাজ করেছেন, তারা দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং মেধাবী যুবসমাজকে ভয়াবহ নেশার দিকে ঠেলে দিয়ে দেশকে নেশাগ্রস্ত ও মেধাশূন্য করার পাঁয়তারা করছেন। খুলনার সচেতন মানুষ হিসেবে আমি এর ধিক্কার জানাই।’
খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রথমে না দেখায় অনুমোদন দিয়ে পরে তামাকজাত পণ্য বিক্রি ও ধূমপানবিষয়ক ৬টি বুথ বাতিল করা হয়। ধূমপানসংক্রান্ত কোনও কার্যক্রম ক্যাম্পাসে করার সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনও কার্যক্রম হতে দেওয়া হবে না।’