ইসলামি শরিয়তে রয়েছে মানুষের জীবনের সব বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান। নারী-পুরুষের জন্য আলাদা বিধান। মুমিন নর-নারী বিশ্বাস করে তাদের জীবনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটাই ঈমানের দাবি।
পর্দা নিয়ে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা হচ্ছে–
দৃষ্টি সংযত রাখা
পবিত্র কোরআনে নারী-পুরুষ উভয়কে দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে; এটাই তাদের জন্য উত্তম। তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে।’ (সুরা নুর ৩০-৩১)
চলাফেরায় শালীন হওয়া
ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কেই শালীন পোশাক পরিধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
আর তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (সুরা আহজাব ৩৩)
নারী-পুরুষের মেলামেশায় সতর্ক থাকা
নারী ও পুরুষের অবাধ মেলামেশাকে ইসলাম সমর্থন করে না। পারস্পরিক আদান-প্রদানে ইসলাম নারী-পুরুষ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তার স্ত্রীদের কাছে কোনো কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র।’ (সুরা আহজাব ৫৩)
পর্দায় নারীর ব্যক্তিত্বের বিকাশ
পর্দার বিধান মানুষকে নৈতিক জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘বৃদ্ধা নারী, যারা বিয়ের আশা রাখে না, তাদের জন্য অপরাধ নেই, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের বহির্বাস খুলে রাখে, তবে (নৈতিক জীবনযাপনের জন্য) এটা থেকে তাদের বিরত থাকাই উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর ৬০)
পবিত্র জীবনের নিশ্চয়তা
শরয়ি পর্দা পালন মানুষের জীবনকে পবিত্র করে। ইরশাদ হয়েছে,
তোমরা তার স্ত্রীদের কাছে কোনো কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এই বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র। (সুরা আহজাব ৫৩)
আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম
পর্দার বিধান পালন ও শালীন জীবনযাপনের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহভীতির জীবন অর্জন করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে আদমসন্তান, তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশ-ভূষার জন্য আমি তোমাদের পোশাক দিয়েছি এবং তাকওয়ার পোশাক—এটাই সর্বোত্কৃষ্ট।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২৬)