রাজবাড়ীর পাংশায় সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পর এক বৃদ্ধ মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগীর নাম মোছা. ফিরোজা খন্দকার (৬৫)। তিনি পাংশা পৌর শহরের মাগুরাডাঙ্গী গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিন খন্দকারের স্ত্রী।
অভিযুক্ত ছেলে মো. খন্দকার ফজলে রাব্বি সাগর (৪২) ও তার স্ত্রী মোছা. মুন্নি খন্দকার (২৭)। ফিরোজা খন্দকার অভিযোগ করেন, একমাত্র ছেলে ও ছেলের স্ত্রী কৌশলে তার বাড়ি ও জমির মালিকানা নিজেদের নামে লিখে নেয়। এরপর ১৮ মাস আগে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, গত ২৩ জুন সকালে তিনি বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করলে তাকে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত সাগরের বোন দীনা খন্দকার বলেন, “আমার ভাই প্রতারণা করে আমাদের মায়ের সব সম্পত্তি লিখে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি জানতাম না। জানার পর বহু খোঁজাখুঁজি করে মাকে খুঁজে পেয়েছি। এরই মধ্যে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।”
অভিযুক্ত সাগরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে বলে জানায় স্থানীয় সূত্র।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”