জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বিয়ের উদ্দেশ্যে পাত্রী দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক প্রতারক, যিনি এর আগেও ৩৬টি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি মো. সদরুল ইসলাম (৪৫) নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাঠানপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আটক সদরুল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় সেনাসদস্য পরিচয়ে নারীদের সঙ্গে বিয়ে করে প্রতারণা চালিয়ে গেছেন।
সম্প্রতি তিনি ৩৭তম বিয়ের উদ্দেশ্যে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীর হাট এলাকায় যান। সেখানে পাত্রী দেখতে যাওয়ার সময় তার কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলাম স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করেন।
পরে খবর পেয়ে তার এক ভুক্তভোগী স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সদরুলকে শনাক্ত করেন। তারা জানান, সদরুল এর আগে পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের আব্দুর রউফ আকন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন। কাবিননামায় ৫ লাখ টাকা উল্লেখ থাকলেও, বিয়ের আগে যৌতুক হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। বিয়ের আড়াই দিন পরেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।
ঘটনার সময় সদরুলের সহযোগী আব্দুর রহিম (৫৫)–কেও আটক করা হয়। তিনি একই উপজেলার আলাল উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা দুইজনকেই গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামাল হোসাইন জানান, “আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে। তদন্ত চলছে।”