সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা, উচ্চমানের শিক্ষা এবং সহজে কাজ পাওয়ার সুযোগ—এই সবকিছুই ব্রিটেনের ওয়েলস অঞ্চলকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। সম্প্রতি, পড়াশোনা পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিচয় বা কমিউনিটি তৈরি করতেও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুবই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই প্রেক্ষিতে, ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এবং ইউএসডব্লিউ বাংলাদেশ স্টুডেন্টস সোসাইটির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মাল্টি ফেইথ ঈদ ইভেন্ট’। এই আয়োজনটি ছিল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সমন্বয়ের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে ইউনিভার্সিটি সাউথ ওয়েলসে শিক্ষার্থীদের আগমন বেড়েছে অনেকগুণে। সাশ্রয়ী থাকার ব্যয়, খণ্ডকালীন চাকরির সহজলভ্যতা এবং নিরাপদ জীবনযাত্রা—এসবই শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করছে। ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সার্বিক সহযোগিতা এসব শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
চেম্বারের চেয়ারম্যান, এম এ আলিম জানান, “আজকের ঈদ মেলা এমনই একটি উদ্যোশ্যে আয়োজন করা হয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কেবল শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, বরং ব্যবসা, নেতৃত্ব এবং সংস্কৃতিতেও নিজেদের জায়গা করে নিক।”
এদিকে, ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডিরেক্টর জেনারেল, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “আমরা চাই, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনায় নয়, নেতৃত্ব, ব্যবসা এবং সংস্কৃতিতেও সামনে এগিয়ে আসুক।”
ইউএসডব্লিউ স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টও এই ইভেন্টের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিকে সামনে নিয়ে আসা এবং অন্য ধর্ম-বর্ণের বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করাই ছিল এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য।”
ঈদের আনন্দের পাশাপাশি এই আয়োজনটি একতার, সম্প্রীতির এবং আন্তর্জাতিকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। ওয়েলসের বাংলাদেশি কমিউনিটি এগিয়ে চলার এবং স্বপ্ন গড়ার পথে এমন উদ্যোগ তাদের নতুন প্রেরণা দিচ্ছে। এছাড়াও, ঈদ মেলায় অনেক ছোট ও বড় ব্যবসায়ীরা তাদের স্টল সাজিয়ে বসেছিলেন, যা ব্যবসা প্রচারের জন্য এক চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই অগ্রযাত্রার সাথে ওয়েলস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের অবদান অনস্বীকার্য। এটি ওয়েলসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নতুন অধ্যায় রচনার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং সম্ভাবনার এই যাত্রা একদিন গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।