খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে জুন মাসে যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৩.৬%-এ পৌঁছেছে, যা আগের মাসের ৩.৪% থেকে বেড়েছে। এই অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধির ফলে লেবার সরকারের অর্থনৈতিক নীতির উপর চাপ আরও বেড়েছে এবং চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ONS) জানিয়েছে, মোটর জ্বালানির দাম কমলেও তা গত বছরের তুলনায় কম হারে কমেছে, যার ফলে এই বছর মুদ্রাস্ফীতিতে উল্টো প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে, খাদ্য ও পানীয়ের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে—বিশেষ করে কেক, মাংস, দুধ, ডিম ও চিজের ক্ষেত্রে।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে:
-
খাদ্য ও পানীয়ের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি: ৪.৫% (২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ)
-
মোটর জ্বালানির দাম: বছরে ৯% কমলেও, এই হ্রাস আগের বছরের তুলনায় কম
-
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম: বার্ষিক ভিত্তিতে হ্রাস পেলেও তুলনামূলকভাবে দুর্বল
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ইতোমধ্যে সুদের হার ৪.২৫%-এ নামিয়ে এনেছে, তবে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে আরও হ্রাসের সম্ভাবনা অনিশ্চিত।
অভ্যন্তরীণ চাপের ইঙ্গিত
পরিষেবা খাতের মুদ্রাস্ফীতি ৪.৭%-এ স্থির রয়েছে, যা ব্যাংকের জন্য উদ্বেগের বিষয়। জুনে বিমান ভাড়ায় ব্যাপক বৃদ্ধি এই প্রবণতায় অবদান রেখেছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
ছায়া চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড বলেন, “মুদ্রাস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার (২%) অনেক উপরে রয়ে গেছে, যা সাধারণ পরিবারের জন্য উদ্বেগের বিষয়।”
চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস অবশ্য স্বীকার করেছেন যে জীবিকার ব্যয় এখনো মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “৩০ লক্ষ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে ব্রেকফাস্ট ক্লাব চালু এবং £৩ বাস ভাড়া সীমা—এসব পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যেই নিয়েছি।”
বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট পুরোপুরি কাটেনি এবং চলমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা, চাকরির বাজারে দুর্বলতা ও মার্কিন বাণিজ্যনীতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।