গাজায় কখন শুরু হচ্ছে যুদ্ধবিরতি
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী রোববার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যুদ্ধবিরতির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে, গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এটি কার্যকর হবে।ন
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানান কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি।
তিনি বলেন, চুক্তির পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয় অনুযায়ী গাজা উপত্যকায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
যুদ্ধবিরতি সফলভাবে কার্যকর করতে সব পক্ষকে সতর্কতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং সরকার থেকে নির্দেশনার অপেক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এর আগে ৪৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর শনিবার ভোরে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে ইসরাইলের পূর্ণ মন্ত্রিসভা।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর শনিবার সকালে ইসরাইল সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলের সরকার একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এরফলে রোববার থেকে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাতে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় কিছু কট্টরপন্থি নেতা এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে। তারপরও নেতানিয়াহুর জোট সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে আটজন এর বিরোধিতা করেছেন।
তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের তথা ৪২ দিনের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
চুক্তির শর্তের মধ্যে রয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেয়া হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ রয়েছেন।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে শুরু হবে। সেখানে অবশিষ্ট সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
তৃতীয় ধাপে অবশিষ্ট মৃতদেহগুলোর ফেরত দেয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।