সিলেটে চার দিন ধরে বৃষ্টি বন্ধ রয়েছে এবং পাহাড়ি ঢলও থেমে গেছে, যার ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরলেও, এখনও ৩৩ হাজার ৬৩৯ জন মানুষের বাড়ি ফেরার অপেক্ষা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, পানি কমে যাওয়ার ফলে সুরমা-কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে, তবে অন্যান্য পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
বর্তমানে, প্রায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। পানি কমার ধীর গতিতে তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। তবে, দুই জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটে আগামী তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই এবং তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হতে পারে।
সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গত তিন দিনে সিলেট জেলায় ৯ হাজার ২৭৭ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরেছে। এখনও ১৫ হাজার ৭৩৮ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সুনামগঞ্জ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরেছে ১০ হাজার ২০০ জন, তবে এখনও ১৩ হাজার ৬৪৯ জন আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে।
দুই জেলায় ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ১১৪ জন মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৫৭ জন এবং সিলেটে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৭ জন।
এছাড়া, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো দুটি দফায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফায় ৩০ মে থেকে এবং দ্বিতীয় দফায় ১৮ জুন থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গতকাল থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।