নামাজে হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা যাবে?
ঈমান আনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। সময়মতো নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। এজন্য নামাজের সময় কী করা যাবে আর কী করা যাবে না; তা জানা আবশ্যক।
অনেকে জানতে চান, নামাজে হাঁচি দিলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা যাবে কি?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজ আদায়ের সময় হাঁচি দিলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা জায়েজ নেই। এমনটি করলে নামাজ ভেঙে যাবে না। তবে ইচ্ছাকৃত করা ঠিক নয়।
তবে নামাজ আদায়ের সময় অন্যের হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বললে নামাজ ভেঙে যাবে। নামাজ অবস্থায় কারও সঙ্গে কথা বলা বা কাউকে সালাম দেয়াও নিষেধ। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্রাম বলেছেন,
إِنّ هَذِهِ الصّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التّسْبِيحُ وَالتّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ
অর্থ: নামাজে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ নেই। নামাজ শুধু তাসবিহ, তাকবি ও কুরআন তিলাওয়াত। (মুসলিম ৫৩৭)
তাই নামাজ অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে কাউকে সম্বোধন করে কিছু বললে বা সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যাবে। শুধু নিজে শুনতে পায় এতটুকু নিচু আওয়াজে কথা বলে ফেললেও নামাজ ভেঙে যাবে।
কেউ যদি নামাজ আদায়রত ব্যক্তিকে সালাম দেয়, নামাজি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে সশব্দে অর্থাৎ মুখে উচ্চারণ করে সালামের উত্তর দেয়, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।
নামাজের বাইরে সাধারণ অবস্থায় হাঁচি দেয়ার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা মুস্তাহাব। হাদিসে হাঁচি দেয়ার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়া এবং তার জবাব দেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
إِذَا عَطسَ أحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الحَمْدُ للهِ، وَلْيَقُلْ لَهُ أخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ: يَرْحَمُكَ الله، فإذَا قَالَ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللهُ، فَلْيَقُلْ: يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بالَكم
অর্থ: তোমাদের কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন সে যেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর) বলে। এবং তার সাথে থাকা ব্যক্তি যেন উত্তরে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ আপনার ওপর দয়া করুন) বলে। যখন তার সাথে থাকা ব্যক্তি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে তখন হাঁচিদাতা উত্তরে বলবে ‘ইয়াহদিকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’। (বুখারি: ৬২২৪)