ফেসবুক এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং আয়ের একটি সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজ ব্যবহার করে কনটেন্ট নির্মাতারা সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারছেন।
তবে মনে রাখতে হবে, যেকোনো প্রোফাইল থেকে ফেসবুকে আয় করা যায় না। নির্দিষ্ট কিছু কনটেন্ট টাইপ, ফিচার এবং ফেসবুকের নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করলেই মনিটাইজেশনের সুযোগ পাওয়া যায়।
ফেসবুক থেকে আয় করার কয়েকটি জনপ্রিয় উপায়:
১. ফেসবুক রিলস মনিটাইজেশন
ছোট ভিডিও বানিয়ে রিলস আকারে আপলোড করলে ভিউয়ের ভিত্তিতে আয় হয়। এই ভিডিওগুলো হতে পারে ইনফরমেটিভ, মজার, মোটিভেশনাল বা শিক্ষামূলক।
২. অ্যাড ব্রেকস
লম্বা ভিডিও কনটেন্ট (৩ মিনিট বা তার বেশি) বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করলে, ভিডিওর মাঝখানে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এ বিজ্ঞাপন থেকেই মূলত আয় হয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের।
৩. ফেসবুক স্টারস
লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিও কনটেন্টের সময় দর্শকরা “স্টারস” পাঠিয়ে আপনাকে সাপোর্ট করতে পারেন। প্রতিটি স্টার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের সমান। গেমিং, গান, লাইভ টকশো বা ট্রেন্ডিং কনটেন্টে এটি ভালোভাবে কাজ করে।
৪. ব্র্যান্ড কল্যাবরেশন
যদি আপনার প্রোফাইল বা পেজে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফলোয়ার থাকে, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনাকে তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য পার্টনার করতে আগ্রহ দেখাতে পারে। এই ধরনের স্পন্সরড কনটেন্ট থেকে সরাসরি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ফেসবুক পোস্ট বা ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে সেখান থেকে বিক্রি হলে আপনি কমিশন পেতে পারেন। টেক প্রোডাক্ট, বিউটি আইটেম, অনলাইন কোর্স বা অ্যামাজনের প্রোডাক্ট এখানে বেশি প্রচলিত।
কোন কনটেন্টে বেশি আয় হয়?
-
লাইফস্টাইল টিপস
-
ট্রাভেল ও ভ্লগ
-
ফানি ভিডিও
-
হেলথ টিপস
-
মোটিভেশনাল স্পিচ
-
শিক্ষামূলক কনটেন্ট
এইসব কনটেন্টের মাধ্যমে বেশি ভিউ পাওয়া সম্ভব, যা সরাসরি আয়ের পরিমাণে প্রভাব ফেলে।