নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে দিশেহারা বাবা-মা। সন্তানের জন্য অশ্রু ঝরাচ্ছেন দুর্ঘটনা কবলিত স্কুলের মূল ফটকের সামনে। কখনো চিৎকার করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে চাইছেন সন্তানের খোঁজ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষকরা এসেছেন ক্যাম্পাসে। কাজ শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটিও৷
মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির রাইসা মনির বাবা সাহাবুল ইসলাম৷ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে রাইসা মনি৷ প্রায় সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় রাইসার৷ রাইসার দেহাবশেষের ঠাঁই হয় সিএমইএইচে৷ এখনো বুঝে পায়নি আদরের সন্তানের মরদেহ৷ এরই মধ্যে আরেক অভিভাবক রাইসা মনিকে দাবি করছেন তার সন্তান হিসেবেও৷ সন্তানের শারীরিক গঠন তার কাছে চিরচেনা তাই রাইসার জন্য এখন পাগল প্রায় বাবা সাহাবুল৷
এদিকে, সন্তান বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে জানেন না আফিয়ার মা৷ তাই স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মূল ফটকের সামনেই নাড়িছেঁড়া ধনের জন্য আকুতি তার৷
ভোর থেকেই স্কুলের গেটে ভিড় করে আছেন উদ্বিগ্ন অভিভাবক আর শিক্ষার্থীরা৷
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে যারা বেঁচে গেছেন সেই সব শিক্ষার্থীদের তাড়া করছে দুঃসহ স্মৃতি৷ প্রিয় বন্ধু, প্রিয় সহপাঠীর সাথে খেলা হবে না, দেখা হবে না স্কুল মাঠে কিংবা টিফিনের ফাঁকে৷
সকালে শিক্ষকরা আসেন স্কুলে। শোকস্তব্ধ তারাও। হতাহতদের তালিকা নিখোঁজদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে স্কুল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করলেও গণমাধ্যমে কথা বলেনি কেউই৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।