যুক্তরাজ্য সরকার তাদের অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে, যা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি (ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন – ILR) এবং স্পাউস ভিসার নিয়মে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। ১২ মে ঘোষিত এই নতুন নীতিমালা ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার পথ আরও কঠিন করে তুলবে, ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আইএলআর-এর নতুন শর্ত
-
আয়ের সীমা বৃদ্ধি: স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আয় প্রমাণ করতে হবে। এতে নিম্ন আয়ের প্রবাসীরা সমস্যায় পড়বেন।
-
ইংরেজি দক্ষতা: ইংরেজি ভাষার দক্ষতার শর্ত আরও কঠোর করা হয়েছে, নির্দিষ্ট পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়াকে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
-
অবিচ্ছিন্ন বসবাস: নির্দিষ্ট সময়ে যুক্তরাজ্যের বাইরে থাকার সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। এ সীমা লঙ্ঘন করলে আইএলআর পাওয়ার যোগ্যতা হারানোর ঝুঁকি থাকবে।
কারা বেশি প্রভাবিত হবেন?
এই পরিবর্তনের আওতায় পড়বেন:
-
দক্ষ কর্মী ভিসাধারীরা
-
স্পাউস ভিসাধারীরা
-
দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দারা (১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে অবস্থানরতরা)
স্পাউস ভিসাতেও কড়াকড়ি
স্পাউস ভিসার ক্ষেত্রেও ন্যূনতম আয়ের শর্ত অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। ফলে যারা তাদের বিদেশি জীবনসঙ্গীদের যুক্তরাজ্যে আনতে চান বা ভিসা নবায়ন করতে চান, তাদের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে।
বর্তমান অভিবাসীদের অনিশ্চয়তা
যারা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইএলআর বা ভিসা নবায়নের সময় তাদেরও নতুন নিয়মের আওতায় মূল্যায়ন করা হবে।
বিশেষজ্ঞের মন্তব্য
ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন সুমন বলেন, “নতুন শর্তগুলো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বড় প্রভাব ফেলবে। এখনও পুরো নীতিমালা প্রকাশিত না হলেও অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সরকার অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে গিয়ে বৈধ অভিবাসীদের চাপের মুখে ফেলছে।”