হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব আবারও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালনকারী বিমানবাহিনীর সদস্যরা ফিরে যাবেন নিজ নিজ বাহিনীতে।
কেন এই পরিবর্তন?
২০২৪ সালের আগস্টে আনসার বিদ্রোহের পর, নিরাপত্তা সংকটে বিমানবাহিনীকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এপিবিএনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় আবারও এপিবিএন নিয়োজিত হবে, এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব শেষ হবে।
পেছনের জটিলতা
এপিবিএন ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখা অ্যাভসেক-এর মধ্যে একাধিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ছিল।
-
অফিসকক্ষ থেকে মালামাল সরানো,
-
যাত্রী হয়রানি ও ভিডিও ফাঁস,
-
শিষ্টাচার ভঙ্গের অভিযোগ,
এসব নিয়ে উত্তেজনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে।
বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হলো?
বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
-
বিমানবন্দরে একক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ বেবিচকের অধীনে নিশ্চিত করা হবে।
-
এপিবিএন ও অ্যাভসেক নিজেদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবে।
-
এপিবিএন দ্রুত টার্মিনাল ভবনের ভেতরে কার্যক্রম শুরু করবে।
-
বিমানবাহিনীর টাস্কফোর্স দায়িত্ব শেষেই ফিরে যাবে নিজ বাহিনীতে।
-
প্রতিটি বিমানবন্দরে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা সভা হবে।
-
বেবিচককে অপারেটর ও রেগুলেটর হিসেবে আলাদা ভূমিকায় পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন:
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন:
-
আইজিপি বাহারুল আলম
-
বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান
-
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক
-
বেবিচকের নিরাপত্তা সদস্য এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল
-
এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
সভায় সভাপতির বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন,
“সরকারি সংস্থাগুলো একই লক্ষ্যে কাজ করছে। আমাদের মধ্যে পেশাদারিত্ব ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখতে হবে।”