হাভার্টজের সন্তানকে হত্যার হুমকি নিয়ে আলোড়ন
এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় আর্সেনাল। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে ১০ জনের ইউনাইটেডকে হারাতে ব্যর্থ হয় আর্সেনাল। শেষমেশ টাইব্রেকারে আর্সেনাল ছিটকে যায় কাই হাভার্টজের পেনাল্টি মিসের কারণে। ইউনাইটেডের গোলরক্ষকের অসাধারণ সেভে হতাশ হয় আর্সেনাল সমর্থকরা।
কিন্তু হতাশা এখানেই থামেনি। পেনাল্টি মিস করার কারণে আর্সেনালের জার্মান তারকা কাই হাভার্টজকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। এমনকি সীমা ছাড়িয়ে তার অনাগত সন্তানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
হাভার্টজের স্ত্রী সোফিয়া হাভার্টজ তার ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই হুমকির স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। হুমকিতে একজন লিখেছেন, “আমি তোমার ঘরে আসব এবং তোমার সন্তানকে জবাই করব। আমি কৌতুক করছি না, অপেক্ষা করো।” এমন মর্মান্তিক মন্তব্যে ভেঙে পড়েন হাভার্টজের পরিবার।
সোফিয়া হাভার্টজ লিখেছেন, “যদি কেউ মনে করে, এ ধরনের কথা বলা স্বাভাবিক, তবে সেটা আমার জন্য বড় ধাক্কার মতো। আমি আশা করি, এই পোস্টের জন্য আপনি নিজেকে নিয়ে লজ্জিত হবেন।”
ঘটনার পর আর্সেনাল ক্লাব দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের অপব্যবহার রোধে ইনস্টাগ্রামে রিপোর্ট করেছে। একই সঙ্গে অপরাধীকে শনাক্ত করতে একজন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীর সাহায্য নিচ্ছে ক্লাবটি।
দ্য স্ট্যান্ডার্ডের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আর্সেনাল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্লাবের এমন উদ্যোগ সমর্থক মহলে প্রশংসিত হলেও প্রশ্ন রয়ে গেছে, খেলাধুলার মতো সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি অঙ্গনে এমন হুমকির ঘটনা কীভাবে ঠেকানো সম্ভব?
কাই হাভার্টজের পেনাল্টি মিস নিয়ে সমালোচনা হলেও অনাগত সন্তানকে হত্যার হুমকি বিষয়টি নিন্দার পাশাপাশি মানবিকতার জন্য নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। খেলাধুলার প্রতিযোগিতা যেন কখনোই এরকম নৃশংসতায় রূপ না নেয়, সেটাই সবার প্রত্যাশা।