ইউক্রেনে এখনও হামলার আশঙ্কা রয়েছে: বাইডেন
ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া কিছু সেনা সরিয়ে নিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। এতে পশ্চিমাদের উদ্বেগ কিছুটা হলেও কমার কথা। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার এখনও জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেছেন, পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা হলে বহু সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে এবং রাশিয়ার অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জো বাইডেন একথা বলেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এই ভাষণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র তার কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তার ভাষায়, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
অবশ্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, সীমান্তে সামরিক মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর একাংশকে সামরিক ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দাবি করেছেন, রুশ সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার খবরের সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সীমান্ত থেকে কিছু রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি এখনও যাচাই করা হয়নি। আমাদের বিশ্লেষকদের মতে, তারা (রাশিয়া) এখনও হুমকির অবস্থানেই আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউক্রেন ইস্যুতে কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, মস্কোর নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা উচিত।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের অফিশিয়াল টুইটার দেওয়া এক বার্তায় বলেন, রাশিয়া থেকে পরস্পরবিরোধী খবর আসছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খবর দিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে একাধিক ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করছে। জনসন বলেন, এটিকে শুধু যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়।