
ইউক্রেন সীমান্তে আরও সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র
ইউরোপে যুদ্ধ চান না বলে একাধিক বার মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মস্কো। তবে এর উল্টোটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছেন ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রাশিয়ার সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন মিশনের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এতে করে সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। তবে, কূটনৈতিকভাবে এ সংকট সমাধানে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ধারণা করছি— ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রাশিয়ার প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি এ সেনা সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি আরও প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরণের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে ইউরোপে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন রাশিয়ার সেনা সরানোর ঘোষণা আশা জাগিয়েছিল পশ্চিমাদের মনে। তবে রাশিয়ার কথা অনুযায়ী আদৌ এমনটি হচ্ছে না বলে পরে দাবি করে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেইন এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা এ তিন এলাকাকে রণক্ষেত্র হিসেবে নজরে রাখছেন। এর প্রত্যেকটি এলাকাতেই রুশ সামরিক বাহিনীর অবস্থান পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয়েছে।
যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করা হয়, সেটি কোথা থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের তিনটি পয়েন্টে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। ক্রিমিয়ার দক্ষিণে, দুদেশের সীমান্তের অংশে ও বেলারুশের দক্ষিণে।
এদিকে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেন ইস্যুতে জল ঘোলা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা কিয়েভে হামলার পরিকল্পনার মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা তৎপরতার কারণ জানতে চেয়েছে কিয়েভ।