বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ২১৬ রান
শক্তিশালী একাদশ নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ শুরুতে নাড়িয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তানকে। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুর দিকে অতিথিদের রানের চাকা দ্রুত ঘোরাতে দেয়নি স্বাগতিক বোলারেরা। সাগরিকার পাড়ে আগে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের ২১৫ রানে থামিয়েছে স্বাগতিকরা। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিততে বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন ২১৬ রান।
বুধবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৯.১ ওভারে ২১৫ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বাধিক ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৮৪ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল চার বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট বরাবরই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা। টস জেতা দলই এখানে আগে ব্যাটিং বেছে নেয়। ব্যত্যয় হলো না এ ম্যাচেও। টসের লড়াইয়ে পরাজয় তামিমের। মলিন কণ্ঠে চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে তামিম জানালেন, তিনি এবং তার দল চেয়েছিল ব্যাটটা আগে হাতে তুলতে।
তামিমের সে আক্ষেপ ঘোচাতে অবশ্য বেশিক্ষণ সময় নেননি মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে দেন তিনি। মুস্তাফিজ যেন বার্তা দিলেন বোলারদের উপরেও আস্থা রাখতে পারো অধিনায়ক! তাসকিন আহমেদের করা আগের ওভারে কঠিন একটি সুযোগ দিয়েও বেঁচে যান রহমানউল্লাহ তবে সুবিধা করতে পারেননি বেশিক্ষণ। মুস্তাফিজকে উড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে চাইলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৪ বলে ১ চারে ৭ রানে
দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সফরকারী শিবির। ইব্রাহিম জাদরান আর রহমত শাহ দেখেশুনে খেলতে থাকেন। সে জুটি আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল ইব্রাহিম দুই বার সহজ জীবন পাওয়ায়। পরে।স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় স্লিপে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম। প্রথম চেষ্টায় ধরতে পারেননি ইয়াসির আলি, তবে হাত ও শরীর দিয়ে কোনোমতে আটকান অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার। ১৯ রানে সাজঘরে ইব্রাহিম। ভাঙে ৬৫ বলে গড়া ৪৫ রানের জুটি।
জমে যাওয়ার আরেক ব্যাটার হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে বোলিংয়ে এসেই ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের অফ স্পিনে কাটা পড়েন আফগান অধিনায়ক। ৪৩ বলে ২৮ করে ফিরে যান শাহিদি।
২৮ ওভারে আফগানদের ৪ উইকেট নিলেও রান দেওয়ায় কিপটে ছিলেন বাংলাদেশি বোলারেরা। ২৮ ওভারে স্কোরবোর্ডে আফগানিস্তান তোলে ১০২ রান।
কিন্তু, এরপর কিছুটা ছন্দ হারান বাংলাদেশের বোলারেরা। সে সুযোগ লুফে নিয়ে রানের গতি বাড়িয়েছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবি ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে আরেকটি ভালো জুটি পায় আফগানিস্তান। এ জুটিতে তারা পায় ৬৩ রান। এরপর শেষে দিকে জাদরানের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ২১৫ রান তোলে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। ৫৫ রান খরচায় তাসকিন নেন দুটি উইকেট। সমান দুটি করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহর শিকার একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান : ৪৯.১ ওভারে ২১৫.১০ (রহমতউল্লাহ ৭, জাদরান ৯, রহমত শাহ ৩৪, শাহিদি ২৮, নাজিবুল্লাহ ৬৭, নবি ২০, নাইব ১৭, রশিদ ৯, ইয়ামিন ৫, মুজিব ০, ফারুকি ০; মিরাজ ১০-৩-২৮-০, সাকিব ৯-১-৫০-২, তাসকিন ১০-০-৫৫-২, মুস্তাফিজ ৯.১-০-৩৫-৩, শরিফুল ১০-১-৩৮-২, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-১)