রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনা শুরু
টানা পঞ্চম দিনের মতো ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান। এই কয়েকদিনে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বেশ কয়েকটি শহরের দখল নেওয়ার পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভ দখলেরও চেষ্টা করছে রুশ সেনারা। এই পরিস্থিতিতে চলমান সংঘাতের অবসানে বেলারুশে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শুরু হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে প্রিপিয়াত নদীর কাছে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের আগে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের নিয়ে দু’টি হেলিকপ্টার বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে পৌঁছায়। জেলেনস্কির কার্যালয় বলেছে, কিয়েভের প্রতিনিধি দলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকজি রেজনিকোভ, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক, ক্ষমতাসীন সার্ভেন্ট অব দ্য পিপল পার্টির প্রধান ডেভিড আরাখামিয়া, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলে তোচিৎস্কি এবং অন্যান্যরা রয়েছেন।
এর আগে, অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতি’ এবং ইউক্রেন ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় কিয়েভ। বৈঠকে এ দুই বিষয়েই জোর দেবে ইউক্রেন।
এর আগে ইউক্রেন রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ দেশ বেলারুশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়া বেলারুশের সীমানা ব্যবহার করেই ইউক্রেনে গত বৃহস্পতিবার হামলা শুরু করে।
বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ান পতাকা শোভিত লম্বা এক টেবিলের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে আলোচনার জন্য ভেন্যু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের আগমন প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এছাড়া বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনাতোলি গ্লেজ পৃথক এক বার্তায় বলেছেন, আলোচনার স্থলে প্রতিনিধিদের সকলে উপস্থিত হওয়ার পর বৈঠক শিগগিরই শুরু হবে।
কিয়েভ প্রথমে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি হয়নি। পরে বিনা শর্তেই আলোচনায় রাজি হয় তারা।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বেলারুশের বৈঠকের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের শুরু এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
পোস্টে আরও বলা হয়, গত ৫ দিনের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর ১৯১ টি ট্যাংক, ২৯ টি যুদ্ধবিমান, ২৯ টি হেলিকপ্টার ও ৮১৬ টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের সেনা বাহিনী।