দুই শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
উচ্চ মাধ্যমিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, গত দুই বছর শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। নতুন করে সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি, তাদের আগামী দিনগুলো সুন্দর হবে।
বুধবার (২ মার্চ) সকালে ঢাকা কলেজে মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘রাজনীতির কবি’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ বিতরণ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন-২০২২ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হয়ত এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। আশা করছি এ শিক্ষাবর্ষ এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যত ঘাটতি আছে সব পূরণ করা সম্ভব হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা হবে৷ করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন নিয়মিত ক্লাস হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা কলেজে উপস্থিত হলেও আমি কথা বলছি সব শিক্ষার্থীদের জন্য। করোনার এ দীর্ঘ সময়ে এক ধরনের ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা আশাকরি, ক্লাস শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের দ্রুত গুছিয়ে নেবে।
আগের সব ঘাটতি পূরণ করতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী ৷
ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের যিনি জন্ম দেন তিনিই শুধু আমাদের মা নন, ভাষাও আমাদের মা, দেশও আমাদের মা। এ ‘তিন’ মাকে যখন একসঙ্গে ভালোবাসতে পারবেন তখনই বিশ্বের বুকে আপনি একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের ক্লাসও আজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের ক্লাস আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারব।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলব, তারা যাতে শুরুর দিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে কিছু এসেসমেন্ট করিয়ে নেয়।
পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি বইগুলো ভালো হবে। চেষ্টা করা হয়েছে বইগুলো ভুল-ত্রুটি মুক্ত রাখতে। তবে একবারেই তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের রিভিউ কমিটি আছে। তারা আবার রিভিউ করবে। আগামী দিনে আমাদের পাঠ্যপুস্তক আরও ভালো হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, যেখানে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখবে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে, মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে। সেই জায়গা থেকে বইয়ের বড় ভূমিকা আছে।