স্কুল-আবাসিক ভবনেও রুশ হামলা, নিহত ৩৩
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। উভয়পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন।
পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে রুশ বাহিনী স্কুলসহ বহুতল আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এই এক সপ্তাহেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল। আর তাই জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।
এদিকে চেরহিনিভ শহরে রুশ হামলার বেশ কিছু ছবি সামনে এনেছে ইউক্রেন। এসব ছবিতে দেখা যায়,হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্টগুলো থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসছে এবং ভবনের ধ্বংসাবশেষ চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া হামলায় নিহতদের মরদেহ স্ট্রেচারে করে বহন করতে দেখা যায় উদ্ধারকারীদের।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর থেকেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রুশ সেনারা। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।
টানা নয়দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে দুই পক্ষেরই হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। রুশ হামলার শুরুর পর জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের ১০ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই পক্ষের সামরিক লোকজনের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন অনেক বেসামরিক নাগরিক। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া সর্বাত্মক হামলা শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির অন্তত ৩৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।