বাইডেনের ফোন কলে সাড়া দেননি সৌদি-আমিরাতের যুবরাজ
ইউক্রেন আক্রমণের জেরে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বড় সংকটে রয়েছে ওয়াশিংটন। এই সংকট কাটাতে রাশিয়ার বিকল্প হিসেবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পাশে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনকলে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় ও তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌদি ও আমিরাতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়েছে হোয়াইট হাউজ।
মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে বলেছেন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সাথে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলার চেষ্টা করছেন এবং এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ উভয় নেতাই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে সৌদির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন জার্নাল জানিয়েছে, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে রিয়াদের হস্তক্ষেপের জন্য আরও সমর্থন, নিজস্ব বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে যুবরাজ মোহাম্মদের আইনি দায়মুক্তি চায় সৌদি আরব।
বিবিসি বলছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট এবং সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক জামাল খাশোগির হত্যা মামলাও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জো বাইডেন সৌদি আরবকে ‘পারিয়াহ’ বা অস্পৃশ্য রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। সেসময় বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদি আরবকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।
অন্যদিকে, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে লক্ষ্য করে ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আমিরাতও। এ কারণেই সৌদি যুবরাজের মতো আমিরাতের যুবরাজও বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।