ইউক্রেন সংকট: চীনকে হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেন সংকট নিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। পশ্চিমাদের সঙ্গে দূরত্বের মধ্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে মস্কোর। ইউক্রেন সংকট শুরুর আগেই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে মস্কোর পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। এদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়াতে মস্কোকে সহায়তা করলে চীনকে ‘অবশ্যই’ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে চলমান হামলার মধ্যেই মস্কো চীনের কাছে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বলে খবর সামনে আসার পর এই মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।
রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে জ্যাক সুলিভান বলেন, ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর আগে থেকে মস্কোর পরিকল্পনার বিষয়ে চীন সচেতন ছিল বলে বিশ্বাস করে ওয়াশিংটন। যদিও বেইজিং রাশিয়ার পুরো পরিকল্পনাটি হয়তো বুঝতে পারেনি।
সুলিভান আরও বলেন, বেইজিং রাশিয়াকে ঠিক কতটা অর্থনৈতিক বা অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে কি না সেটি ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তেন কিছু ঘটলে (চীনের বিরুদ্ধে) পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভাষায়, ‘আমরা বেইজিংয়ের সাথে সরাসরি এবং ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখছি, বৃহৎ আকারের নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়ার প্রচেষ্টা বা রাশিয়াকে সহায়তার জন্য বেইজিংকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা এমনটি হতে দেব না এবং এই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে বিশ্বের কোনো দেশ থেকেই রাশিয়াকে সহায়তা পেতে দেওয়া হবে না।’
যদিও জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি গত সপ্তাহে ‘সব পক্ষকে’ সংযত হতে ও ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি’ এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা এক জরুরি বৈঠকে চীনের প্রতিনিধি জ্যাং জুন বলেন, কূটনৈতিক সমাধানকে বেইজিং স্বাগত জানাবে এবং উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, সব ধরনের উদ্বেগকে ‘সমতার ভিত্তিতে’ দেখা উচিত।