রাজনৈতিক কর্মকৌশল নির্ধারণে আজ বৈঠকে বসছে ১৪ দল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠের কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বেলা সাড়ে ১১টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত রোববার রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে রাজনৈতিক, সামাজিক, নির্বাচন নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে—সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্তসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৪ দলীয় জোট। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকলেও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রতিনিধিত্ব নেই শরিকদের।
জানা গেছে, সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশানুরূপ আসন না পাওয়া ও সরকারের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়। তারপরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বৃহৎ স্বার্থের কথা বিবেচনায় অঙ্গীকারবদ্ধ জোট শরিক নেতারা। এ অবস্থায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে গত শুক্রবার ১৪ দলীয় জোটের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায়ও জোট শরিকরা ১৪ দলীয় জোটকে সক্রিয় করার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিল জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। অসুস্থ ও বয়সের ভারে চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ায় নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে। কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। এর পরেই ১৪ দলীয় জোটের ভার তুলে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর হাতে।