এবার বাইডেন ও তার ছেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাশিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ শীর্ষ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর এবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। এই নাগরিকদের মধ্যে দেশটির সরকারি প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ১৫ মার্চ থেকে মস্কোর ‘স্টপ লিস্ট’-এ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নসের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রুশ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, বাইডেনের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানসহ ১০ জন মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১৫ মার্চ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।’
রাশিয়ার নিষেধজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও জো বাইডেনের পুত্র হান্টার বাইডেনও আছেন।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তিদের সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাশিয়ার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে এই ব্যক্তিদের সঙ্গে ন্যূনতম আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখা হবে। তাছাড়া, যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে রুশ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’
রশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ শুরু হয়। গত ২০ দিনে তাদের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ আক্রমণের মুখে এরই মধ্যে ৩০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের জবাবে পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি সংঘাতে না জড়ালেও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুশ অর্থনীতির কোমর ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস, কয়লা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো মস্কোর ওপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
জবাবে ইউরোপে গ্যাস রফতানি বন্ধ করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয় রাশিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো তারা।