লন্ডনে বাংলায় লেখা হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম উদ্বোধন!
ব্রিটেনের ব্যস্ততম রেলস্টেশনের মধ্যে অন্যতম পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল রেলস্টেশন। এ স্টেশনের নাম লেখা হয়েছে বাংলা বর্ণমালায়। এ স্টেশনের বাংলা সাইনবোর্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিক রেইনসফোর্ড। বলা হচ্ছে এটি ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটির একটি বিরাট অর্জন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রিটেনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস, স্পিকার আহবাব হোসেনসহ কাউন্সিলারবৃন্দ।
ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আর্থিক সহযোগিতায় স্টেশনটিতে বাংলায় নাম লেখা হলো। ১৮৭৬ সালে নির্মিত বর্তমানে আধুনিকায়ন করা এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে স্টেশনের নাম বাংলা ভাষায় হওয়ায় বাংলা ভাষার সম্মানে আরও একটি মাত্রা যোগ হলো। পরিচিতি পেলো একটি উন্নত বহুজাতিক পরিমণ্ডলে।
উদ্বোধন আনুষ্ঠানে মেয়র জন বিগস বলেন, মাল্টি কালচারাল টাওয়ার হ্যামলেটসে বাংলাদেশী কমিউনিটির শক্তিমত্তাকে প্রদর্শন করবে এই বাংলা লেখা। এছাড়াও ব্রিটেনে বাংলাদেশিদের অবদানের স্বীকৃতিকে স্মরণ করিয়ে দিবে এই বাংলা সাইনবোর্ড।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই উদ্যোগ অসাধারন মাত্রা যোগ করেছে। বাংলাদেশ সেন্টার যদি বাংলা স্কুল চালু করে সেটা পরিচালনার দায়িত্ব নিবে বাংলাদেশ হাই কমিশন।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার আহবাব হোসেন বলেন, কাউন্সিল বাংলা ভাষা প্রসারে যে কাজ করছে তার মধ্যে এটা অন্যতম। এটি টিএফএলের প্রজেক্ট হলেও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস।
বাংলাদেশি কমিউনিটির এ অর্জনের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি এরা হলেন মেয়র অব লন্ডন সাদেক খান ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস ও গ্রেটার লন্ডন অ্যাসেম্বলি মেম্বার উন্মেষ দেশাই উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলররা এবং কমিউনটির নেতারাসহ সবার প্রচেষ্টার ফলে স্টেশনের নাম বাংলায় লেখা সম্ভব হয়েছে।
এ সফলতায় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস লন্ডনের মেয়র, সকল কাউন্সিলর ও কমিউনিটির নেতদেরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।