ইউক্রেন যুদ্ধে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো নতুন কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের একটি অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা আরআইএ নভোস্তি বলেছে, এর আগে রাশিয়া কখনই ইউক্রেন যুদ্ধে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নির্ভুল নিশানার অস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি। পশ্চিমাপন্থি ইউক্রেনের সংঘাতে এবারই প্রথম কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইভানো-ফ্র্যাংকিভিস্ক অঞ্চলে মাটির নিচে তৈরি ইউক্রেন বাহিনীর এই অস্ত্রের গুদামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য গোলাবারুদ মজুদ করা ছিল। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুদামটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে এ ব্যাপারে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে একটি যথাযথ বা প্রকৃত অস্ত্র হিসেবে অভিহিতি করেছেন। যা যেকোনো দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশিতে ছুটতে পারে।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ বাহিনী। গত ২০ দিনে তাদের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ আক্রমণের মুখে এরই মধ্যে ৩০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন।