শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: আরও দুই মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত লঞ্চডুবির ঘটনায় মোট ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ৯টায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ডেমরার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল জাবেরের (৩০) মরদেহ মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে থেকে ও ৩ বছরের এক শিশুর মরদেহ বন্দর হরিপুর প্লাওয়ার প্লান্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনার আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজনের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া শিশুর মরদেহ ঘটনাস্থলে আসেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
গত রোববার দুপুরে এম এল আফসারউদ্দিন নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে কয়লারঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এম ভি রূপসী-৯ ছোট লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়।
এ সময় অনেক যাত্রী সাঁতরে প্রাণে বেঁচে গেলেও বেশ কিছু সংখ্যক যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে। এ পর্যন্ত তিন শিশুসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও কয়েকজন। নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে উদ্ধারকাজ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম ভি আফসার উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চটিকে এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো ধাক্কা দেয়। কার্গোটি ওই লঞ্চকে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে ওই লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।