র্যাব সদস্যদের জন্য বিশেষ ‘ইনসিগনিয়া’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নে (র্যাব) দায়িত্ব পালনের জন্য বিশেষ ‘ইনসিগনিয়া’ পাচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা। গত ২১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ইনসিগনিয়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠেয় বাহিনীর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এ ইনসিগনিয়া ব্যাজ পরিয়ে দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরপর থেকে ইউনিফর্মে এ ব্যাজ পরার অনুমতি পাবেন বাহিনীর সব স্তরের সদস্যরা।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, র্যাব ফোর্সেস আটটি বাহিনী ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস এলিট ফোর্স। বিভিন্ন বাহিনী থেকে আসা সদস্যেরা একটি নির্দিষ্ট সময় সেবা দিয়ে নিজ বাহিনীতে ফিরে যান। র্যাবের এ সম্মিলিত কার্যক্রমকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে সব র্যাব সদস্যের জন্য একটি ‘ইনসিগনিয়া’ অনুমোদিত হয়েছে।’
বার্তায় আরও বলা হয়, “এই ‘ইনসিগনিয়া’ প্রত্যেক সদস্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে নিজ নিজ ড্রেস রুল অনুযায়ী পরতে পারবেন। সব র্যাব সদস্যের জন্য এটি অনন্য সম্মান ও গৌরবের প্রতীক।
ইনসিগনিয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চিহ্নের অর্থ
ব্যাজে সবার ওপরে মাঝখানে জাতীয় প্রতীক শাপলা যা জনপ্রশাসনকে ধারণ করে। এর দুই পাশে আটটি তারকা চিহ্ন র্যাব ফোর্সেসে কর্মরত বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার পরিচায়ক।
ওপরের দিকে মাঝামাঝি অস্ত্রের চিহ্ন জনগণের সুরক্ষা সেবা এবং আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের দায়বদ্ধতার পরিচায়ক। এর নিচে দু’পাশের চিহ্নের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে সর্বত্র বিরাজমান র্যাবের আভিযানিক সক্ষমতা।
তার নিচে মাঝখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধের চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়েছে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্ব পালনে নির্ভীক ও সুদৃঢ় অঙ্গীকারের পরিচায়ক। সবশেষে নিচে নৌকা আকৃতির চিহ্নে বোঝানো হয়েছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের নির্ভরতার প্রতীক।