ইসরায়েলে ফের বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ গেল ৫ জনের
ইসরায়েলে বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। ইহুদি এই দেশটির রাজধানী তেল আবিবের উপকণ্ঠে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এ হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলাকারী ব্যক্তি একজন ফিলিস্তিনি অর্থাৎ ইসরায়েলি আরব নাগরিক বলে জানা গেছে।
দেশটির প্যারামেডিকসরা জানান, পুলিশের গুলিতে ওই হামলাকারীও নিহত হয়। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলে এনিয়ে তৃতীয়বার এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটলো।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত বেনি ব্র্যাক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এটি দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অতি-অর্থোডক্স ইহুদি অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। হামলার ঘটনার পর পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত মঙ্গলবার ও রোববার ইসরায়েলি আরবদের হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী তার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে একটি গাড়ির জানালা দিয়ে গুলি চালাচ্ছে।
জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, হামলার এই ঘটনার পর একজনকে গাড়িতে এবং অন্যদের আশপাশের রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এ বিষয়ে বুধবার দেশটির সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠকেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
বেনেট বলেন, ‘ইসরায়েল আরব সন্ত্রাসবাদ ও হত্যাকাণ্ডের ঢেউয়ের মুখোমুখি হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। আমরা অধ্যবসায় ও একাগ্রতার সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
সম্প্রতি ইসরায়েলে বন্দুকধারীদের হামলা বেড়ে গেছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি শহরে বন্দুকধারীদের হামলায় দুইজন নিহত হন স্থানীয় সময় রোববার (২৮মার্চ)। দেশটির পুলিশ জানায়, ওই হামলাকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন আরব-ইসরায়েলের নাগরিক। উত্তরের তেল আবিবের হাদেরার প্রধান সড়কে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে পুলিশের পাল্টা গুলিতে দুই বন্দুকধারীও নিহত হন।
এ ঘটনার পাঁচ দিন আগে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর বীরশেবায় হামলায় চার ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। পরে ওই দুই হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী (আইএস)।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এধরনের হামলার ঘটনাকে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও মঙ্গলবারের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।