আত্মসমর্পণ করলেই কেবল হামলা বন্ধ হবে: পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের অবরুদ্ধ মারিউপোল নগরীতে গোলাবর্ষণ কেবল তখনই বন্ধ হবে যখন ইউক্রেনীয় সেনারা আত্মসমর্পণ করবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
অন্যদিকে ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানান, মারিউপোলে আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে রাজি হয়েছেন পুতিন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কর্মকর্তারা ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে ও চাইলে তাদের সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাছাড়া তাদের অবশ্যই খাদ্য, পানি ও প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের সুবিধা দিতে হবে।
ফ্রান্স, তুরস্ক, গ্রীসসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুতিন এ প্রস্তাব ভেবে দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, তাদের নতুন প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে বোমাবর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিউপোলে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে। অবরুদ্ধ এই নগরীতে কয়েকসপ্তাহ ধরে চলছে রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণ।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনী নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। বুধবার (৩০ মার্চ) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অলেক্সান্ডার মোতুজিয়ানিক এ দাবি করেন।
মোতুজিয়ানিক বলেন, ‘রাশিয়ার মূল চেষ্টা এখন পূর্ব-ইউক্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলা।’
তিনি আরও দাবি করেন, রাশিয়া এখনও দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোল এবং পোপাসনা ও রুবিজনে শহর দখলের চেষ্টা করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। এদিকে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শান্তি আলোচনার জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সরাসরি বৈঠকে বসেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া বৈঠকে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। মস্কোর ধারাবাহিক হামলায় এখনো ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে ইউক্রেনবাসী। তাদের প্রধান গন্তব্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে। জানা গেছে, এরই মধ্যে ৪০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।