পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুরের মধ্যে শেষ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে এমন তথ্য পাওয়ায় বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এবার রমজানের মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তাই কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রমজান চলমান থাকায় এবার ২টার মধ্যে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। দুপুর ১টার পর কাউকে এই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ গেটে তল্লাশি করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ এলাকা নজরদারিতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট থাকবে। প্রত্যেকটি মানুষকে চেকের ভেতর দিয়ে এই এলাকায় প্রবেশ করতে হবে। পাশাপাশি সোয়াত ও ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন থাকবে। আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত পুরো এলাকা সার্চ করা হবে। পাশাপাশি পুরো চত্বর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিভিন্ন স্থানে ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পুরো এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২০০১ সালে রমনার বটমূলে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সেই হামলাকে মাথা রেখে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। কোন রাস্তা দিয়ে কিভাবে নিয়ে যাবো সেটার জন্য আলাদা দল প্রস্তুত থাকবে।
ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন জানিয়ে কমিশনার বলেন, যেখানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় সেখানে নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। আমাদের মায়েরা, বোনেরা, সন্তানরা ইভটিজিং ও খারাপ আচরণের শিকার হন। সেটি চিহ্নিত করতে আমাদের সাদা পোশাকে উল্লেখযোগ্য সদস্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবে।
ছোট শিশুদের না আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এই এলাকায় শিশুদের না আনার অনুরোধ করছি। কারণ এই এলাকায় খাবারের কোনো দোকান থাকবে না। মুখোশ পরে আসা যাবে না। উচ্চ শব্দ তৈরি করে এমন বাদ্যযন্ত্র আনা যাবে না।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ দিতে হলে চেকের ভেতর দিয়ে যেতে হবে জানিয়ে কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখের বিশেষ আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হলে আগে চেকিং হয়ে প্রবেশ করতে হবে। মাঝ রাস্তায় চাইলেই কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সদস্যরা কঠোর আচরণ করতে পারে।
বেলা ১১টার মধ্যে ছায়ানটের আয়োজন শেষ করতে হবে। আর দুপুর ২টার মধ্যে রমনা এলাকায় মেলা গুটিয়ে ফেলতে হবে। ১টার পর প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পুরো এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।