বেনাপোলে আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরের বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মগর আলীকে (৬৪) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তার ছেলে ও এক পৌত্রকেও কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মগর আলীকে (৬৪) মৃত ঘোষণা করেন। আহত তার পৌত্র ইয়াসিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় পৌর আওয়ামী লীগের অফিসে ইফতার করে বাড়ি ফেরার সময় কাগজপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মগর আলী বেনাপোল পোর্ট থানার কাগমারী এলাকার বাসিন্দা ও মৃত আব্দুস সারেনের ছেলে।
নিহতের ছেলে হোসেন আলী বলেন, আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। তিনি বেনাপোল পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের অনুসারী। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি পৌর আওয়ামী লীগের অফিসে ইফতার করেন। ইফতার শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে কাগজপুকুর গ্রামের হারুনের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানের সামনে এলে বাবার ওপর হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপায় সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বাবাকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও ছুরিকাঘাত ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় আমি আমার ভাই হাসান ও ভাইপো ইয়াসিনকে ছুরি ও দা দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে আমরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। হামলাকারীদের মধ্যে ছিল রাজু আহমেদ, শামসুর রহমান, আরব আলী, হারুন, জাহাঙ্গীর, সোহেল, রফিক, জুয়েল ও হাকিমসহ প্রায় ১৫ জন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জসীম উদ্দিন জানান, বেনাপোল থেকে অস্ত্রের আঘাত নিয়ে চারজন এসেছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল উদ্দিন ভুইয়া জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।