আগামী সপ্তাহে ভারত যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ২১ ও ২২ এপ্রিল ভারত সফরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ার বিষয়েও কথা বলবেন তারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম ভারত সফরে যাচ্ছেন জনসন। রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে বরিস জনসন বলেন, যেহেতু আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি পথে স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি, সেহেতু গণতন্ত্র ও বন্ধুদের একসঙ্গে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি এবং বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে এই অনিশ্চিত সময়ে যুক্তরাজ্যের জন্য ভারত অত্যন্ত মূল্যবান একটি কৌশলগত অংশীদার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে কৌশলগত প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা করবেন দুই নেতা। দুই দেশের অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিতে কথা বলবেন তারা।
আসন্ন ভারত সফরে ২১ এপ্রিল মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটের প্রধান শহর আহমেদাবাদ পরিদর্শন করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
আগামী সপ্তাহের বৈঠকে দুই দেশের জনগণের জন্য সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন তারা বলেও জানানো হয়। এছাড়াও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে শুরু করে জ্বালানি নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় উঠে আসবে তাদের আলোচনায়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়ে ব্রিটেন ও ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জবাবে লন্ডন মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং প্রতিরোধে কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে ক্রেমলিনের নিন্দা জানানো বা মস্কোর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে মোদির সরকার।
ভারত জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে রাশিয়া একটি অপরিহার্য স্তম্ভ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার ওপর কৌশলগতভাবে নির্ভর করে দেশটি।