পরমাণু যুদ্ধের হুমকি বাস্তবসম্মত: রাশিয়া
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান গড়িয়েছে তৃতীয় মাসে। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে চলমান রুশ সামরিক অভিযান বা যুদ্ধের শুরু থেকেই কার্যত অনেকটাই বিপর্যস্ত ইউক্রেন। রুশ সেনাদের জোরদার আক্রমণে ইউক্রেনের বহু শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরও যুদ্ধের তীব্রতা এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা কোনোটিই কমেনি। রাশিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনে ছায়াযুদ্ধে জড়িয়েছে। একইসঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিকে বাস্তবসম্মত বলেও আখ্যায়িত করেছে দেশটি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের অর্থ হচ্ছে সামরিক জোট ন্যাটো ‘রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে’। এই অস্ত্রগুলো বিশেষ অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ আরও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে এক অর্থে যুদ্ধে লিপ্ত। তারা (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে। যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে আলোচনার ‘ভান’ করার অভিযোগ তুলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে জেলেনস্কিকে ‘একজন ভালো অভিনেতা’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
রাশিয়ার এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, ‘তিনি (জেলেনস্কি) যা বলছেন তা আপনি যদি মনোযোগ সহকারে দেখেন এবং মনোযোগ সহকারে পড়েন, তাহলে তার কথার মধ্যে আপনি হাজারও বৈপরীত্য খুঁজে পাবেন।’
সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর হলে ইউক্রেন সংকটের অবসান ঘটবে ঠিকই তবে চুক্তির বিস্তারিত বিষয় সামরিক অভিযানের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে।
সোমবার রুশ টেলিভিশনে তিনি বলেন, যে কোনো সামরিক সংঘর্ষ বন্ধে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। বিশেষ সামরিক অভিযানের শুরুতে রুশ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী যথাযথভাবে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করবে মস্কো।