কড়া নাড়ছে ঈদ, জমে উঠেছে আতর-টুপির বাজার
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ঘিরে চলছে সব বয়সী মানুষের কেনাকাটা। একই সঙ্গে জমে উঠেছে রাজধানীর আতর, টুপি ও জায়নামাজের বাজারও। আতর-টুপিতে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, পল্টন ও নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা। করোনার কারণে দুই বছর তেমন ব্যবসা করতে না পারলেও এবার সংকট কেটে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে নানা ডিজাইনের টুপি, জায়নামাজ সারি করে সাজানো রয়েছে। পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা হয়েছে পাথরের তসবিহ ও আতর। ক্রেতারা দামদর করছেন।
দোকানগুলোতে তুর্কি ছাড়াও পাকিস্তানি, চায়না জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে। তুর্কি জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকায়, পাকিস্তানি জায়নামাজ ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায়, চায়না জায়নামাজ ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, আমাদের কাছে ৩ হাজার, ৫ হাজার, ১০-১২ হাজার পর্যন্ত দামের আতর আছে। মিশক আম্বার ও ন্যাচারাল উদ আছে এটি প্রতি এমএল ৩৫০ টাকা থেকে হাজারের উপরে পড়বে। এছাড়াও রয়েছে দেশি-বিদেশী নানা ধরনের নানা ডিজাইনের জায়নামাজ-টুপি। ১০ থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব টুপি। আর জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকায়।
বায়তুল মোকাররমে মা-বাবার জন্য জায়নামাজ কিনতে এসেছেন রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, ৭৫০ টাকায় ২ টা জায়নামাজ কিনেছি। নতুন নতুন কালেশকন দেখে ছেলে-মেয়ের জন্যও দুটি নিয়েছি।
রাজধানীর খিলগাঁও থেকে আসা খালেকুজ্জামান বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে পরিবারের সবার জন্য আতর ও টুপি কিনেছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার আতরের দাম বেশি।
বায়তুল মোকাররমের উর্মি এমপরিয়াম হাউজের দোকানি ফয়েজ আহমেদ বলেন, আজ ২৭ রমজান, তাই অন্যান্য দিনের চেয়ে, দুপুরের পর থেকে বিক্রি ভালো হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে আতর ও তসবিহর তুলনায় জায়নামাজ ও টুপি বিক্রি হয়েছে। তবে আজ সন্ধ্যার পর থেকে আতর ও তসবিহ বিক্রি বেড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী আমির হোসেন জানান, কম দামের আতরের মধ্যে দুবাইয়ের হারামাইন আতর প্রতি ১৫ মিলিগ্রাম ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সৌদি আল রিহাব কোম্পানির ৬ মিলিগ্রাম ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়, ভারতের আল নাঈম কোম্পানির ৮ মিলিগ্রাম বোতলের আতর ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশীয় ফারহান কোম্পানির আতর ৬ মিলি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়, আলিফ কোম্পানির আতর ১৫০ টাকায় থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গুলিস্তান, পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় দেশীয় টুপির পাশাপাশি তুর্কি, পাকিস্তান, চায়না, ইন্ডিয়ান টুপি রয়েছে। পাকিস্তানি টুপি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়, কাশ্মিরি টুপি ২০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়, জিন্নাহ ও নেয়ামত টুপি ১৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়, কাজ করা টুপি ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়, স্টোন টুপি ১১ হাজার টাকা থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে টুপি বিক্রেতা আমান জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় টুপি আজ বেশি বিক্রি হয়েছে।