ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত অন্তত ৪৩
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় কমপক্ষে ৪৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এ ঘটনার পর ওই কারাগারের ১০৮ বন্দীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সময় সোমবার (৯ মে) ভোরে দেশটির সান্তো ডমিঙ্গো কারাগারে বন্দি থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর সদস্যদের মধ্যে দাঙ্গার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি ও বিবিসির।
ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও ক্যারিলো সাংবাদিকদের বলেছেন, পালিয়ে যাওয়া ১১২ জন বন্দিকে পুনরায় আটক করা হয়েছে এবং ১০৮ জন বন্দি এখনও পলাতক রয়েছে।
কারাগারে লস লোবোস ও আর-৭ নামের বিরোধী দুটি গ্যাংয়ের বন্দীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইকুয়েডরের সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ের ভাষ্যমতে, ‘এখন পর্যন্ত ৪৩ জন বন্দী নিহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দেওয়া গেছে।’
দেশটির পুলিশ প্রধান ফাউস্তো সালিনাস সাংবাদিকদের বলেন, দাঙ্গার ঘটনায় সময় পলাতক কারাগারের ১১২ বন্দীকে আটক করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনো ১০৮ বন্দীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে দাঙ্গায় আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও কারিলো। তিনি বলেন, তাঁদের অনেকেই গুরুতর আহত। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ। মাদক, বিশেষ করে কোকেনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেফতার করছে পুলিশ এবং তাদের দ্বন্দের কারণেই দেশটির কারাগারগুলো দিন দিন যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।
রয়টার্স বলছে, গতবছর ইকুয়েডরজুড়ে বিভিন্ন কারাগারে দাঙ্গায় ৩১৬ জন বন্দির মৃত্যু হয়।