টাওয়ার হ্যামলেটস নির্বাচন: রেবেকা সুলতানা কাউন্সিলার নির্বাচিত
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাচনে রোশনারা আলী এমপির মর্যাদা পূর্ন আসন বেথনাল গ্রীন বো এলাকার বেথনাল গ্রীন ইষ্ট ওয়ার্ড থেকে ব্রিটেনের মূলধারার দল লেবার পার্টি থেকে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট রেবেকা সুলতানা৷ এই ওয়ার্ডের এই প্রথম কোন ব্রিটিশ বাংলাদেশী মহিলা কাউন্সিলার হলেন।
পেশায় স্কুল শিক্ষক রেবেকা টাওয়ার হ্যামলেটের স্কুল গভর্নর হিসেবে অনেক দিন যাবত কাজ করেছেন।
তৃতীয়বাংলা খ্যাত যুক্তরাজ্যে তৃণমূল থেকে মূলধারায় বাংলাদেশী প্রবাসীরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাখছে যুগান্তকারী ভূমিকা। বহুভাষা ও সংস্কৃতির ব্রিটেনের রাজনীতিতে বাংলাদেশী-ব্রিটিশদের অংশগ্রহন বাড়ছে দিন দিন। ৫মে লন্ডনে অনুষ্ঠিত লোকাল কাউন্সিল নির্বাচনে বাংলাদেশীদের জয় মূলত মেইনস্ট্রিম রাজনীতিতে আরও বেশী ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনের দুয়ার খুলছে বলেও মনে করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা।
৫ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে অনুষ্ঠিত লোকাল কাউন্সিল নির্বাচনে সিলেট বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রবাসীদের মধ্যে ৯ জন কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন দল থেকে প্রতিযোগিতা করেছেন এমন সংখ্যা হবে প্রায় ২০ জনের অধিক।
ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জননী রেবেকা সুলতানা ব্রিটেনের পরিচিত জন সাংবাদিক লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবুর সহধর্মীনী। দুই ছেলে বিলেতের বিখ্যাত কুইন ম্যারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়রত। এক ছেলে হামিম চৌধুরী লেবার পার্টির সাথে জড়িত।
রেবেকার দেশের বাড়ী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরন গ্রামে৷ পিতা শিক্ষানুরাগী হাজী মোবারক মিয়ার বড় মেয়ে তিনি।
বেবেকা বিজয় লাভের পর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, দেশে বিদেশে আমার পরিবার মানুষের কল্যানে কাজ করছেন।
সেবার মানষিকতা নিয়ে তারই ধারাবাহিকতায় মুল ধারার রাজনীতিতে আমার অংশগ্রহন এবং বিশেষ করে নিজের এবং আহাদ চৌধুরী বাবুর মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট দেখে এবং উৎসাহ এবং সহযোগী তায় আমি উদ্ভুদ্ধ হই ৷
ধন্যবাদ জানাই আমার সকল স্থরের দলীয় কর্মী, সাথী কাউন্সিলার এবং বিশেষ করে ওয়ার্ডবাসী এবং নারীদের যারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন ভোট দিয়েছেন ।
আমি আমার ওয়ার্ডের তথা টাওয়ার হ্যামলেটসের জনগণের কল্যানে নিবিড় ভাবে কাজ করতে চাই৷
এই এলাকার অন্য দুই কাউন্সিলার হলেন লেবার পার্টির সিরাজুল ইসলাম এবং এস্পায়ার থেকে আহমেদুল কবির।