চেয়ারম্যানের শিশু পুত্রকে খুনের পর আত্মহত্যা করল ঘাতক
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের শিশুপুত্র আল রাফসানকে (৯) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক এরশাদ মোল্লা (৩৫) আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সদরপুর টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার থেকে লাফিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের ভাঙ্গার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি বাজার এলাকায় গণপিটুনিতে আহত হন এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লা (২৯)। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
এরশাদ ও ইমরান সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ির সানু মোল্লার ছেলে। এরশাদ দুই সন্তানের বাবা। তার স্ত্রীর নাম রাহিমুন।
এরও আগে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ঢেউখালী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার শিশুপুত্র রাফসানকে হত্যা করেন এরশাদ। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত হন রাফসানের মা দিলজাহান রত্না (৩৫)। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাফসানকে হত্যা ও তার মা রত্নাকে জখম করে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অভিযুক্ত এরশাদ মোল্যা সদরপুরে টিঅ্যান্ডটি টাওয়ারে চড়ে বসেন। এসময় বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা তাকে লাফ না দিতে অনুরোধ করেন। তারা বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকেও জানান। তবে পুলিশ আসার আগেই সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এরশাদ মোল্যা টাওয়ার থেকে লাফ দেন। এতে নিচে পড়ে তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদরপুরের আটরশি এলাকায় টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন এরশাদ মোল্লা। এর আগে ৭টার দিকে পাশের ভাঙ্গার বালিয়াহাটি বাজার এলাকায় গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হন এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লা। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।