মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণযোগ্য: ডব্লিউএইচও
আফ্রিকার বাইরে যেসব দেশে এখনো মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি সেই সব দেশের পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বাইরে এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬টি দেশে। এসব দেশের রোগীর সংখ্যা এক শর বেশি। এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলো।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের এই সংখ্যাটি এখনও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসাধারণের জন্য এই ভাইরাস নিয়ে সামগ্রিক ঝুঁকি খুবই কম। মূলত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র উদীয়মান রোগ বিষয়ক দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘(মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও) বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে, সেটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সাম্প্রতিক সংক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ বন্ধ করতে চাই। মহামারিতে আক্রান্ত নয় এমন দেশগুলোতে এটি করতে পারি আমরা। আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যেখানে আমরা প্রাথমিক ভাবে এই রোগ শনাক্ত করে আক্রান্তদের আইসোলেশনে পাঠাতে পারি।’
এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বাইরে ১৬টি দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। আফ্রিকার বাইরে গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হওয়া সত্ত্বেও মাঙ্কিপক্স মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়ে না এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসটি করোনাভাইরাস মহামারির সাথে তুলনীয় নয়।
মারিয়া আরও বলেন, এক জন অন্য জনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে বিশেষ করে ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত যারা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই হালকা রোগ রয়েছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো অন্য বিশেষজ্ঞরাও এই ভাইরাস নিয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন। অনেক বিশেষজ্ঞও বলছেন, অনেক মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবেন, এই আশঙ্কা কম।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানায়, মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বেশির ভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে মাঙ্কিপক্স তেমন গুরুতর না হলেও হঠাৎ রোগটির প্রাদুর্ভাব বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই রোগে আক্রান্তদের জন্য নতুন নির্দেশাবলি দিয়েছেন। উচ্চঝুঁকিতে থাকা সংক্রমিত ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহ স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।