ব্রিটেনের অভিবাসী প্রত্যাশীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর প্রথম ফ্লাইট ১৩ জুন
যুক্তরাজ্যে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম ফ্লাইট যাবে ১৪ জুন।
হোম অফিস থেকে আফ্রিকান দেশে উড়ে যাওয়া প্রথম ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা জারি করা শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ হবে বলে আশা করছে হোম অফিস।
বিতর্কিত পরিকল্পনাটি রাজনীতিবিদ, দাতব্য সংস্থা এমনকি ক্যান্টারবারি থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। তারা বলছে সরকার ঈশ্বরের প্রকৃতির বিপরীত কাজ করছে। যা অমানবিক। পাঁচ বছরের ট্রায়াল স্কিমের অধীনে, কিছু আশ্রয়প্রার্থী যারা যুক্তরাজ্যে এসেছে তাদের রুয়ান্ডায় পাঠানো হচ্ছে যেখানে তাদের আবেদন প্রক্রিয়ার সমাধান করা হবে বলে হোম অফিস থেকে আগেই ঘোষনা দিয়েছে।
আর এই নিয়ম অনুযায়ী যখন তাদের আবেদন সরকার বিবেচনা করবে তখন তাদের আবাসন সহায়তা দেওয়া হবে এবং আবেদন সফল হলে, তারা পাঁচ বছর পর্যন্ত শিক্ষা এবং সহায়তার অ্যাক্সেসসহ রুয়ান্ডায় থাকতে সক্ষম হবে।
এরই মধ্যে ব্রিটেনে আগত অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর লক্ষ্যে এরই মধ্য দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ব্রিটেন সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওয়ান ওয়ে বিমান টিকিট দিয়ে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, রুয়ান্ডার সাথে অংশীদারিত্ব ছিল দুই ভাগে আশ্রয় ব্যবস্থা সংশোধন। এছাড়া ব্রিটেনে মানুষ পাচারকারীদের ব্যবসায়িক মডেল ভেঙ্গে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য। এই বছর ৪ হাজার ৮৫০ জনেরও বেশি লোক ছোট নৌকায় চ্যানেলটি অতিক্রম করেছে।
অন্যদিকে হোম অফিস প্রাথমিকভাবে কতজনকে রুয়ান্ডায় পাঠানোর নোটিশ জারি করেছে তা নিশ্চিত করেনি। তবে একজন কর্মকর্তা বিবিসি নিউজকে বলেছেন, যাদের নির্দেশনা জারি করা হবে তারা সবাই বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে আটক রয়েছেন। তবে এটিকে আইনী পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছে হোম অফিস।
এদিকে যারা রুয়ান্ডায় তাদের আশ্রয়ে ব্যর্থ হয় তারা যদি সেদেশে থাকতে চায় তবে অন্য অভিবাসন রুটের অধীনে ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে, কিন্তু তারপরও নির্বাসনের মুখোমুখি হতে পারে।
একটি সূত্র জানিয়েছে শতাধিক অভিবাসীকে প্রথমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেকেই রুয়ান্ডায় যেতে চান না। তারা অনেকেই আইনের আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে সরকার কি করবে তা এখনই জানায়নি।