মধ্যরাতে সিলেটে ডাকাত আতঙ্ক, মসজিদে মসজিদে মাইকিং
সিলেট নগরীর শামীমাবাদ, কানিশাইল ও আখালিয়া ঘাট এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে এসব এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত প্রবেশের কথা জানিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মানুষের চিৎকার-চেচামেচির শব্দ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আলী মাহমুদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে যাই। আপাতত এর বাইরে আর কিছু জানি না। পরে বিস্তারিত জানাব।
তিনি বলেন, কেউ আতঙ্কিত হবেন না, পুলিশ মাঠে আছে। রাত সোয়া ৩টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। আপনারা চোখ-কান খোলা রাখবেন। আমরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে আপনাদের পাশে আছি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্নজনকে সিলেটে ডাকাতির ঘটনায় পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
সিলেটে ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি, চলবে আরও দুদিন
সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দুদিন বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দুদিন বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশেই থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বেশ কয়েকটি বিভাগে প্রবল বজ্রপাতসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ মাসে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও বৃষ্টি হবে।
১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন বন্যাকবলিত সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ৯০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়, লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে যায়। উদ্ধারের জন্য সিভিল প্রশাসন জলযান নিয়ে মাঠে নামে। সিলেট এবং সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানিয়েছিলেন, পানিবন্দির তুলনায় জলযান অপ্রতুল।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশের ১০ জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যাকবলিত। এসব এলাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।