আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০ জনে পৌঁছেছে। তবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার (২২ জুন) ভোররাতে মানুষজন ঘুমিয়ে থাকার সময় আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আঘাত হানে প্রবল এই ভূমিকম্প।
পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার এবং ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৯ রেকর্ড করেছে।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের খোস্ত শহরে এবং কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৪ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে ইউরোপীয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএসএসসি) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরেও ভূমকম্পটির তীব্রতা অনুভূত হয়, যার প্রভাব পড়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের অন্তত ১২ কোটি মানুষের ওপর।
পাকিস্তানের রাজধানীর ইসলামাবাদ, লাহোর, মুলতান, কোয়েটাসহ অন্যান্য অঞ্চলেও এর তীব্রতা অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
আফগানিস্তানের সরকারি মুখপাত্র বিলাল করিমি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, গত রাতে পাকতিকা প্রদেশের চারটি জেলায় প্রবল ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। এই ভূমিকম্পে শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের পর আরও বিপর্যয় এড়াতে আমরা সকল সাহায্যকারী সংস্থাকে অবিলম্বে দুর্গত এলাকায় কর্মী পাঠানোর অনুরোধ করছি।’
এর আগে গত শুক্রবার ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি ও মুলতান। এছাড়া ফয়সালাবাদ, অ্যাবোটাবাদ, সোয়াট, বুনার, কোহাত এবং মালাকান্দেও ওই কম্পন অনুভূত হয়েছিল।