লঞ্চেই আসছেন লাখো যাত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসমাবেশে অংশ নিতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসছে বিলাসবহুল লঞ্চ। শনিবার ভোর থেকে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে একে একে পৌছাতে থাকে লঞ্চগুলো। দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে একে একে প্রায় ৩০টি লঞ্চ বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌছে। এতে আগত নেতা কর্মীদের ভিতর উৎসক আনন্দ বিরাজ করছে।
আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন দুপুরে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে জনসমাবেশে যোগ দিবেন তিনি। তাই জনসভায় যোগ দিতে বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছেন তার। সকাল সাড়ে ৮টা এ বাংলাবজার ঘাটে ২০টি লঞ্চে প্রায় ৪৫ হাজার নেতা কর্মী এসেছেন। আজ জনসভা শেষ করে রাতে তাদের নিজ এলাকায় ফেরার কথা রয়েছে তাদের।
এদিকে সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায় প্রতিটি বিলাসবহুল লঞ্চে হাজার হাজার নেতা কর্মী। ঘাটে আসা মাত্র বিআইডব্লিউটিএর ঘাটের লোকজন তাদের সিরিয়াসলি রিসিভ করছেন। লঞ্চগুলো সিরিয়ালে থেকে তাদের যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন।
আগত নেতাকর্মীর অনেকই জানান, নিয়মিত রুটের লঞ্চগুলো পদ্মা সেতুর জনসমাবেশের আমাদের নেতাকর্মীদের জনসভা স্থলে নিয়ে আসার জন্য ভাড়া করা হয়েছে। রাতে আমরা বিভিন্ন এলাকা থেকে রওনা হয়ে ভোর থেকে এই পর্যন্ত ঘাটে এসে পৌছালাম।
রাজহংস ১০ নামের লঞ্চে আগত তৈমুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, রাত ১১টায় রওনা হয়েছে। মাত্র আসলাম। খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের লঞ্চে প্রায় ১৬ শত লোক আছে। আমেদের উপজেলা থেকে পাচটি লঞ্চ এসেছে।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, লঞ্চগুলোতে নেতাকর্মীদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি লঞ্চে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ নেতারা নেতৃত্বে ছিলো।তারা লঞ্চের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা দেখভাল করেছেন। তাই আসার পথে কোন সমস্যা হয়নি।
পটুয়াখালী বাউফল থেকে আগত মিরাজ হোসেন বলেন, রাতে লঞ্চে উঠেছি। সারারাত আনন্দ করতে করতে লঞ্চে ছিলাম কোন সমস্যা হয়নি। আমাদের নেতার সকল ব্যবস্থা করেছেন। আমাদের উপজেলা থেকে ৭টি লঞ্চে প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মী পদ্মা সেতুর জনসমাবেশ স্থলে যোগ দেবেন বলে শুনেছি। এছাড়াও অন্য উপজেলা ও বিভাগের অন্যান্য জেলা-উপজেলা থেকে লঞ্চে আসবেন অনেকেই।