জনসন ক্ষমতাচ্যুত হলে কে হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?
ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের পর একই পথে হেঁটেছেন দেশটির শিশু ও পরিবারমন্ত্রী উইল কুইন্স এবং জুনিয়র পরিবহনমন্ত্রী লরা ট্রট। একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইতোমধ্যে ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভবিষ্যৎকে আরও হুমকিতে ফেলেছে মন্ত্রীদের এই পদত্যাগ। একে একে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করায় বরিসের গদি এখন টালমাটাল। এ অবস্থায়ও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটে জয় লাভ করে বিরস জনসন যখন গা ঝাড়া দিয়ে আবার কাজ শুরু করার কথা বলছিলো তখন এমন ভাবে একে একে গুরুত্বপূর্ন মানুষেদর পদত্যাগের চাপ পরতে পারে বরিস জনসননের উপর।
এখন প্রশ্ন উঠেছে এমন টালমাটাল ব্রিটিশ রাজনীতিতে যদি হাওয়া বদল ঘটে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অথবা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, তাহলে কে হবেন তার স্থলাভিষিক্ত? এ বিষয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য নেতার নাম তুলে ধরেছে।
এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক ফরেন সেক্রেটারি জেরিমি হান্ট, সাবেক স্বাস্থ্য সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ, পেনি মডার্ন্ট ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রতিরক্ষা সেক্রেটারী, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেনহ্যান্ট, ফরেন সেক্রেটারী লিজ ট্রুস, নতুন চ্যাঞ্ছেলর নাদিম যাওয়াই। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন সব থেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে সাজিদ জাভিদ, ঋষি সুনাক ও জেরিমি হান্ট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বরিস জনসন আগে কখনো এত বড় সংকটের মুখে পড়েননি। এই সংকট কাটিয়ে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বরিস জনসন দুঃখপ্রকাশ করার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকারি পদে অযোগ্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে তিনি ভুল করেছেন।
পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে তার এমপি পদ বাতিল করা হয়।