পদত্যাগের ঘোষণা ইতালির প্রধানমন্ত্রীর
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চান মারিও দ্রাগি। আস্থা ভোটে নিজ জোটভুক্ত দল ফাইভ স্টারের সমর্থন হারানোর পর মারিও এই ঘোষণা দেন। শুক্রবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা মারিও দ্রাগিরের পদত্যাগপত্র গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাকে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সংসদে ভাষণ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মারিওকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করা মারিও দ্রাঘি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইতালির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে রাজনৈতিক দল ফাইভ স্টার মুভমেন্ট তার পেছন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
পদত্যাগের বিষয়ে এক বিবৃতিতে মারিও দ্রাঘি বলেছেন, জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যে আস্থা-বিশ্বাসের দরকার, সেটা শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ রাতে প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করব।’
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রাঘিকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাতারেলা।
প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তাকে পার্লামেন্টে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সিনেটের আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু দ্রাঘির জোট সরকারের সঙ্গী ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ এই ভোটে অংশ নেয়নি। এর পরই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, জোট সরকার আর ঐকমত্যে নেই। তিনি তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে জানিয়ে দেন, রাতেই প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
বিবিসি বলছে, করোনা মহামারি পরবর্তী পুনরুদ্ধার কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং দেশকে অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষা করতে দ্রাঘিকে নিযুক্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেলা। তিনি এখন মারিও দ্রাঘিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরতে পার্লামেন্ট ভাষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবশ্য পদত্যাগের ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট মাতারেলার হস্তক্ষেপের প্রভাব কী হতে পারে তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মারিও দ্রাঘি আগামী বুধবার পার্লামেন্টে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেখানে পর্যাপ্ত সমর্থন পেলে দায়িত্বে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।